মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে কৃষক বাবার মৃত্যু  তেহরান ছেড়ে পালাচ্ছে সাধারণ মানুষ ভোলায় ঈদ উপহার খাসি না পাঠানোয় মেয়েকে নির্যাতন, শঙ্কায় বৃদ্ধা মা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাটের ওপর নড়াইলে সন্ত্রাসী হামলা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেনের ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাল টাকায় গরু বিক্রি করা সেই বৃদ্ধকে ওমরাহ করাতে চান অপু বিশ্বাস হাইওয়ে পুলিশের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কৃষি জমিতে বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ উপদেষ্টার বেলকুচিতে বাইক কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
টাকার অভাবে মৃত মেয়েকে কোলে নিয়েই রওনা

টাকার অভাবে মৃত মেয়েকে কোলে নিয়েই রওনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অ্যাম্বুলেন্স দেয়নি হাসপাতাল। তাই বাধ্য হয়ে সাত বছরের মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই হাঁটতে শুরু করলেন অসহায় বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানার করিমনগর জেলায়। হতভাগ্য ওই ব্যক্তির নাম সম্পত কুমার। তার বাড়ি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নিজের জেলা পেড্ডাপল্লির কুনাভরম গ্রামে।

এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ হতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারের প্রবল সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সম্পত কুমারের সাত বছরের মেয়ে কোমলতা। বাধ্য হয়ে তাকে করিমনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন সম্পত।

গত রোববার হাসপাতালে মারা যায় শিশু। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সম্পত। মেয়ের মৃতদেহ নিজের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানায়, অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। তাই মৃতদেহ নিয়ে যেতে চাইলে বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না সম্পতের পকেটে।

তাই প্রিয় সন্তানের মৃতদেহ বুকে জড়িয়ে হাসপাতাল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। রাস্তা দিতে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েকে কোলে নিয়ে ফিরছিলেন সম্পত। কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর তাকে ওই অবস্থায় হাঁটতে দেখে কী হয়েছে জানতে চান এক অটো-চালক। পুরো বিষয়টি শোনার পর নিজের অটোতে করে সম্পতকে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেন ওই অটো-চালক।

পরে সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় পুরো তেলেঙ্গানায়। এদিকে, পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং ওই ব্যক্তি তাড়াহুড়া করছিলেন। তিনি নিজেই মেয়ের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com